বিষন্ন গাছ বা দুঃখের বৃক্ষ বা শিউলি

@tofazzal
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুলগুলোর মধ্যে শিউলি অন্যতম। কোনো কোনো অঞ্চলে এ ফুল শেফালী নামেও পরিচিত। দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান উত্তরে নেপাল অঞ্চল পর্যন্ত শিউলি ফুলের দেখা পাওয়া যায়। তবে আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ। শিউলি ফুলের ইংরেজি নাম : Night-flowering Jasmine.পরিবার : Oleaceae. উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম : Nyctanthes arbor-tristis. লাতিন Nyctanthes--এর অর্থ হচ্ছে ‘সন্ধ্যায় ফোটা’ এবং arbor-tristis-এর মানে হচ্ছে ‘বিষন্ন গাছ’। সন্ধ্যায় ফোটা আর সকালে ঝরা ফুলের মাঝে ‘বিষন্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটাই এ রকম নামকরণের কারণ বলে ধারণা করা হয়। দিনের আলোতে শিউলি ফুল উজ্জ্বলতা হারায় কখনও কখনও একে “tree of sorrow” বা ‘দুঃখের বৃক্ষ’ও বলা হয়।

@tofazzal
শিউলি ছোট আকারের বৃক্ষজাতীয় ফুল গাছ। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড মাঝারি শক্ত মানের। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি, প্রায় সব ধরনের মাটি এবং রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে এ ফুলের গাছ ভালো জন্মে। শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল ধরে। পাতার রঙ সবুজ, মধ্যশিরা স্পষ্ট, অগ্রভাগ সূচালো। পাতার অন্য বৈশিষ্ট হল কচিপাতার কিনারা খাঁজ কাটা থাকে। তবে পরিপূর্ণ পাতায় খাঁজকাটা থাকে না। শিউলি মূলত শরৎ ঋতুর ফুল। তবে বছরের অন্য ঋতুতেও গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুল ছোট, সুগন্ধযুক্ত। কোমল ফুলে ছয়টি পাপড়ি থাকে, পাপড়ির রঙ সাদা হলেও বোঁটার অংশ কমলা রঙের এবং পাপড়ির সংযোগ স্থল বৃত্তাকার কমলা রঙে বিস্তৃত থাকে। রাতের রাণী বলে খ্যাত শিউলি ফুল রাতের বেলা ফোটে এবং সকালে ঝরে পড়ে। ভোরে শিউলি গাছের তলা সাদা ফুলে ফুলে ভরে যায়। গ্রামাঞ্চলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ফুল দিয়ে মালা বানিয়ে গলায় পরে। ফুল ঝরা শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ এবং ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়।

@tofazzal

@tofazzal


@tofazzal

@tofazzal


@tofazzal


@tofazzal

Comments

Popular posts from this blog

জারুল

মায়াবতী কাঠগোলাপ