Posts

Showing posts from June, 2019

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন

Image
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন   ছবিঃ তোফাজ্জল হোসেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন   বাংলাদেশের   পাবনা জেলার  ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিতি প্রায় ১শ' বছরের পুরোনো ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলওয়ে জংশন ‌ঈশ্বরদী রেল জংশন স্টেশন ও ইয়ার্ড'। এটি দেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম বৃহৎ রেল স্টেশন এবং জংশন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী পৌরসভা সদরে অবস্থিত।  ১৮৬২ সালে প্রথম আমাদের এই বাংলার সঙ্গে ভারতের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সে সময় পাকশীতে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাটে ছিল রেল স্টেশন। পরে কালের বিবর্তনে নতুন রেল স্টেশন স্থাপনের প্রয়োজন দেখা দিলে ১৯১০ সালে পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯১৫ সালে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্থাপিত হয়। ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ইয়ার্ড ও স্টেশনটিতে ১৭টি রেললাইন স্থাপন করা হয়। মূলত, তখন থেকে দেশের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ১শ' বছরে সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অপরিবর্তিত রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ

অরণ্য/রাধাচূড়া

Image
অরণ্য/রাধাচূড়া রাধাচূড়া     ছবি:তোফা্জ্জল হোসেন Caesalpinia Pulcherrima Leaf রাধাচূড়ার আরও অনেক নামের মাঝে রত্নগণ্ডি, সিদ্ধেশ্বর, গুলেটুর নাম গুলো বেশি শোনা যায়। Peacock Flower বা Red Bird of Paradise নামে পরিচিত এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Caesalpinia pulcherrima। স্বভাবে ক্রিস গেইলের মত এই গাছটির আদি নিবাসও ঐ একই দেশে, ওয়েস্ট-ইন্ডিস। যদিও ভারত উপমহাদেশের সর্বত্র দেখা যায় গাছটি।

মায়াবতী কাঠগোলাপ

Image
মায়াবতী কাঠগোলাপ কাঠগোলাপ  ( ইংরেজি :  Frangipani ), ( দ্বিপদ নাম :  Plumeria ) হচ্ছে  Apocynaceae  পরিবারের একটি  সপুষ্পক উদ্ভিদের   গণের  নাম। [১]  কাঠগোলাপ মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা ও দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় ফুল। কাঠগোলাপ বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন গুলাচি, গোলাইচ, গোলকচাঁপা, চালতাগোলাপ, গরুড়চাঁপা ইত্যাদি। কাঠগোলাপ   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন সাদা রঙের পাঁচ পাপড়ির ফুলের কেন্দ্রে গাঢ় হলদেটে আভা আবার কখনও গোলাপী বা লাল রঙের ফুলের কেন্দ্রে হলুদের ফোটা দেওয়া মোহময় ফুল কাঠগোলাপ। বাহারী এই ফুলের দেখা এখন আমাদের দেশে প্রায়শই মেলে। কাঠগোলাপ বা ইংরেজীতে ফ্রাঙ্গিপানি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল, তবে সুদূর মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল, ভেনেজুয়েলা ও দক্ষিণ ভারত থেকে এসে আলো ছড়াচ্ছে আমাদের উদ্যানে। গোলাপ মানুষের কাছে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে সমাদৃত, ঠিক গোলাপের মতোই মোহময়তায় কাষ্ঠল বৃক্ষে ফোটা এই কাঠগোলাপও যুগে যুগে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে অনেকের কাছেই সমাদৃত। কাঠগোলাপ   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন শুধু কাঠগোলাপ নয়, টেম্পল ট্রি, ডেড ম্য

পাহাড় আর নদী একাকার যেখানে..

Image
পাহাড় আর নদী একাকার যেখানে যাদু কাটা নদী   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন নদীর নাম যাদুকাটা। গায়ে কাটা দেওয়ার মতোই যাদুকরি তার রূপ। নদী থেকে দেখা যায় দূরের পাহাড়, যাওয়া যায় না কাছে। কারণ পাহাড়গুলো ভারত সীমান্তের ওপারে। পাহাড়ের রূপ কাছে টানে, জড়িয়ে ধরতে চায় মায়ার বাঁধনে। সীমান্তের বাঁধা মানতে না চাওয়া মনকে এপারে আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যাদু কাটা নদী   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন পাহাড়ের পর পাহাড় সবুজ থেকে ধীরে ধীরে ঝাপসা নীল রঙ ধারণ করে। অপরূপ স্বচ্ছ পানিতে নিজের মুখ দেখে দূরের আকাশ। তার প্রতিবিম্ব বুকে ধারণ করে যাদুকাটা কখনো সাজে রূপালী রঙে, কখনো সাজে অমোঘ নীলে আর কখনো গম্ভীর ধূসরবর্ণে। যাদু কাটা নদী   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন একদা এই যাদুকাটা নদীতীরেই ছিল প্রাচীন লাউড় রাজ্যের রাজধানী। এখন রাজ্য নেই, নেই রাজধানীও। তবে যাদুকাটা নদীর উৎসমুখ, নদীর চারপাশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবশ্যই মুগ্ধ হওয়ার মতো। এলাকার নামের সঙ্গে রাজ্যের নামটিও জড়িয়ে আছে, ‘লাউরেরগড়’। যাদু কাটা নদী   ছবি: তোফাজ্জল হোসেন যাদুকাটার নদীর কোল ঘেষে বারিক টিলার অবস্থান। সবুজ বনে ছাওয়া এই চমৎকার টিলায় ঘ

কাঠবিড়ালি (Eastern chipmunk)

Image
কাঠবিড়ালি কাঠবিড়ালি   S cientific name :  Tamias striatus Lifespan :  3 years (In the wild). কাঠবিড়ালী   রোডেনশিয়া  বর্গের  স্কিউরিডে  গোত্রের অনেকগুলো ছোট বা মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রজাতির অন্যতম। মূলত এই বর্গের  স্কিয়ারাস  এবং  টামিয়াস্কিয়ারাস প্রজাতিকেই কাঠবিড়ালী বলা হয়। কাঠবিড়ালীর সামনের পা দুটো ছোট এবং পেছনের পা দুটো বড় হয়ে থাকে, ফলে এরা খুব সহজেই লাফ দিতে পারে। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর সামনের পা থেকে পেছনের পা পর্যন্ত শরীরের সাথে লোমশ চামড়া সংযুক্ত থাকে । কাঠবিড়ালি দেখতে ছোট হলেও তাদের বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি। কাঠবিড়ালির মনে রাখার সহজাত ক্ষমতা আছে যার কারণে এরা গাছ, ফুল, ঝোপঝাড়, এলাকা চিহ্নিত করে এদের বাসা খুঁজে বের করতে পারে। প্রতি শরৎকালে এরা একহাজারের মত বাদাম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখে এবং শীতকালে ঠিকই সেগুলো খুঁজে বের করতে পারে। তাদের এই বুদ্ধিমত্তা খাদ্য মজুদকরণের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়। এরা সাধারণত ছোট প্রাণী প্রায় ৭-১০ সেমি দৈর্ঘ্য এবং ওজনে ১০ গ্রাম হল আফ্রিকান পিগমি কাঠবিড়ালীর আর বড়র দিকে হল লাওশিয়ান বড় উড়্ড়ুক্কু কাঠবিড়