কাঠবিড়ালি (Eastern chipmunk)


কাঠবিড়ালি




কাঠবিড়ালী রোডেনশিয়া বর্গের স্কিউরিডে গোত্রের অনেকগুলো ছোট বা মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রজাতির অন্যতম। মূলত এই বর্গের স্কিয়ারাস এবং টামিয়াস্কিয়ারাসপ্রজাতিকেই কাঠবিড়ালী বলা হয়।
কাঠবিড়ালীর সামনের পা দুটো ছোট এবং পেছনের পা দুটো বড় হয়ে থাকে, ফলে এরা খুব সহজেই লাফ দিতে পারে। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর সামনের পা থেকে পেছনের পা পর্যন্ত শরীরের সাথে লোমশ চামড়া সংযুক্ত থাকে ।


কাঠবিড়ালি দেখতে ছোট হলেও তাদের বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি। কাঠবিড়ালির মনে রাখার সহজাত ক্ষমতা আছে যার কারণে এরা গাছ, ফুল, ঝোপঝাড়, এলাকা চিহ্নিত করে এদের বাসা খুঁজে বের করতে পারে। প্রতি শরৎকালে এরা একহাজারের মত বাদাম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখে এবং শীতকালে ঠিকই সেগুলো খুঁজে বের করতে পারে। তাদের এই বুদ্ধিমত্তা খাদ্য মজুদকরণের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়।

এরা সাধারণত ছোট প্রাণী প্রায় ৭-১০ সেমি দৈর্ঘ্য এবং ওজনে ১০ গ্রাম হল আফ্রিকান পিগমি কাঠবিড়ালীর আর বড়র দিকে হল লাওশিয়ান বড় উড়্ড়ুক্কু কাঠবিড়ালি দৈর্ঘ্যে ১.০৮ মিটার এবং আলপাইন মারমট যার ওজন হয় ৫-৮ কেজি। কাঠবিড়ালীর শরীর লম্বাটে, ঝোপালো লোমে ঢাকা লেজ আর বড় বড় চোখ দেখতে সুদৃশ্য। সাধারণত তাদের লোম নরম আর মোলায়েম যদিও প্রজাতিভেদে তা চিকন মোটা হয়। তাদের লোমের রং প্রজাতিভেদে অনেক রকম হয়।












Comments

Popular posts from this blog

বিষন্ন গাছ বা দুঃখের বৃক্ষ বা শিউলি

জারুল

মায়াবতী কাঠগোলাপ