আগুনরাঙা পলাশ ফুল..


বসন্ত মানেই পলাশ ফুল। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি আগুনরাঙা পলাশের রূপ কার না ভালো লাগে! মানুষ মুগ্ধ হয় পলাশকে ঘিরে পাখপাখালির কলকাকলিতে, ফাগুনের উত্তলা বাতাসে। চোখ জুড়ানো সবুজ বনের মাঝে পলাশ ফুলের হাসি দেখে মনে হয় সবুজের বুকে আগুন লেগেছে। দূর থেকেও মানুষের নজর কাড়ে, হৃদয় কাড়ে। এ জন্য পলাশকে বলা হয় অরণ্যের অগ্নি। পলাশ ফোটা বসন্ত দিনের মায়াময় রূপের বাহার নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো রচনা। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই কম বেশি পলাশ ফুলের গাছ চোখে পড়ে। রাস্তার ধার, নদীর পাড়, বন-জঙ্গল, বাঁধের পাশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোলা জায়গায় পলাশের সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে, আন্দোলিত করে।



পলাশ পর্ণমোচী বৃক্ষ জাতীয় ফুল গাছ। উচ্চতা গড়ে ১২ থেকে ১৫ মিটার। শাখা-প্রশাখার সামনে থোকায় থোকায় ফুল ফোটে। কুঁড়ি দেখতে অনেকটা বাঘের নখের আকৃতির মতো। বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দার গাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। শীত মৌসুমে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। গ্রীষ্মে নতুন পাতা গজায়। ফুল ফোটার সময় গাছ থাকে পাতাশূন্য। গাছের শাখা-প্রশাখা নরম। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে পলাশের বংশবিস্তার ঘটানো হয়।
পলাশ বসন্তজুড়েই মুগ্ধতা ছড়ায়। সংস্কৃতিতে ফুলটি কিংসুক নামে আর মনিপুরী ভাষায় পাঙ গোঙ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে বলা হয় Parrot tree, Bastard Teak. এই উদ্ভিদের আদিনিবাস মিয়ানমার। পরিবার : Febaceae. উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম : Butea monosperma.

















@tofazzalhossain-all right reserve

Comments

Popular posts from this blog

মায়াবতী কাঠগোলাপ

বিষন্ন গাছ বা দুঃখের বৃক্ষ বা শিউলি

কাঠবিড়ালি (Eastern chipmunk)